Friday, September 1, 2017

কিভাবে কোরবানির মাংস সংরক্ষণ করবেন?

সঠিক উপায়ে মাংস সংরক্ষণ করুন

    মাংস তাজা ও টাটকা অবস্থায় রান্না করাই সব থেকে ভালো। এতে মাংসের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। তবে কোরবানির মাংস সংরক্ষণ করতেই হয়। আর কোরবানির ঈদের আসতেও আর বেশি বাকি নেই। তাছাড়া সঠিক পদ্ধতিতে মাংস সংরক্ষণ করা না হলে মাংসের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই সঠিকভাবে মাংস সংরক্ষণের পদ্ধতি জানা জরুরী। তাই আসুন আজ জেনে নেই মাংস সংরক্ষণের সঠিক নিয়ম।


যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে :

- প্রথমেই ফ্রিজ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। কারণ দীর্ঘদিন মাংস সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজ পরিষ্কার থাকা খুবই জরুরি। ফ্রিজে আগের মাছ ও মাংসের কারণে গন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

- মাংস সংরক্ষণের আগে অবশ্যই ভালোভাবে রক্ত ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ধোয়ার পর অতিরিক্ত পানি ঝরানোর জন্য বড় ঝুড়িতে রেখে দিতে হবে। মাংস থেকে পানি ঝরে গেলে পলিথিন বা প্লাস্টিকের প্যাকেটে রেখে ভালোভাবে মুখ পেঁচিয়ে বা বন্ধ করে ফ্রিজে রাখতে হবে। যদি মাংস পলিপ্যাকে রাখতে চান তাহলে ভালো হয় যদি ফুডগ্রেড পলিপ্যাকে রাখেন।

- কোরবানির তিন থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত মাংস শক্ত ও গরম থাকে। এই সময় মাংস ফ্রিজে না রাখাই ভালো। এ সময়ের পর মাংস খানিকটা নরম হলে মাংস সংরক্ষণ করতে হবে।

- ফ্রিজে রাখার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন মাংসের টুকরা বেশি বড় না হয়। ছোট ছোট টুকরা করে মাংস সংরক্ষণ করা ভালো।

- ফ্রিজে একেকটি মাংসের প্যাকেট রাখার সময় মাঝে মোটা কাগজের টুকরা দিয়ে রাখা যেতে পারে। এতে একটি মাংসের প্যাকেটের সঙ্গে অন্য প্যাকেট আটকে যাওয়ার ঝুঁকি থাকবে না।

- মাংস সংরক্ষণের জন্য অবশ্যই নতুন ও পরিষ্কার প্যাকেট ব্যবহার করতে হবে। পুরানো বা আগের ব্যবহৃত পলিথিন ব্যবহার করলে মাংস গন্ধ হয়ে যেতে পারে।

- ফ্রিজে মাংস রাখার পর তাপমাত্রা কমিয়ে দিতে হবে। এতে মাংস তাড়াতাড়ি জমবে।

ফ্রিজ না থাকলে সংরক্ষণের উপায়

জ্বাল দিয়ে সংরক্ষণ : মাংস ভালোভাবে ধুয়ে পরিমাণ মতো হলুদ, লবণ মাখিয়ে পানি দিয়ে জ্বাল দিতে হবে। এই মাংস দিনে অন্তত দুবার জ্বাল দিলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে। এভাবে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে মাংসে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকলে মাংস অনেকদিন ভালো থাকবে।


https://www.facebook.com/ronyeesikdar

Wednesday, August 23, 2017

গরুর মাংসের কালা ভুনা

চট্টগ্রামের বিখ্যাত গরুর মাংসের কালা ভুনা রান্নার রেসিপি। তৈরি করুণ বাড়িতেই চট্টগ্রামের বিখ্যাত গরুর মাংসের কালা ভুনা।

উপকরনঃ

৩ থেকে ৪ কেজি হাড় ছাড়া গরুর মাংস
১/২ চামচ বা মরিচ গুড়া
১ চামচ হলুদ গুড়া
১/২ চামচ জিরা গুড়া
১/২ চামচ ধনিয়া গুড়া
১ চাচম পেঁয়াজ বাটা
২ চামচ রসুন বাটা
১/২ চামচ আদা বাটা
সামান্য গরম মশলা (দারুচিনি, এলাচি)
১/২ কাপ পেঁয়াজ কুঁচি
কয়েকটা কাঁচা মরিচ
পরিমান মত লবন
সরিষার তেল



প্রনালীঃ

মাংস কাটার পর ভাল মতো ধুয়ে নিন। তারপর পেঁয়াজ কুঁচি এবং কাঁচা মরিচ বাদে লবন, তেল ও বাকি সব মশলা দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিতে হবে। মাখানো মাংসটি এবার চুলায় হালকা আঁচ রেখে তুলে দিতে হবে। এবার দুই কাপ পানি দিয়ে আবারো ঢাকনা দিয়ে দিন। মাংস সিদ্ব হতে সময় লাগবে। আবারো গরম পানি এবং জাল বাড়িয়ে নিন যদি মাংস না নরম হয়ে থাকে। ঝোল শুকিয়ে , মাংস নরম হয়ে যাবার পর রান্নার পাত্রটি সরিয়ে রাখুন। এবার অন্য একটি কড়াই নিয়ে, তাতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুঁচি এবং কাঁচা মরিচ ভাঁজতে থাকুন। সোনালী রং হয়ে আসলো শেই কড়াইতে গরুর মাংস দিয়ে , হালকা আঁচে ভাজতে থাকুন।

ভাজিটি কাল হয়ে যাওয়া পর্যন্ত তা নাড়তে থাকুন, খেয়াল রাখবেন যেন পুড়ে না যায়। এই সময় চুলার পাশেই থাকুন। সবশেষে রান্নাটি নামানোর আগে লবণটি চেখে নিন। এবার পরিবেশন করুন চাটনি অথবা সালাদ সহ।

*কালা ভুনার স্বাদ আরো বাড়াতে খাঁটি সরিষার তেল ব্যবহার করুণ।


কালা ভূনার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন 
https://goo.gl/usjQJK

Tuesday, August 22, 2017

চিংড়ি মাছের মালাইকাড়ি

উপকরণ:

বড় চিংড়ি ১ কেজি (ধুয়ে বেছে নেওয়ার পর), সবুজ কাঁচা মরিচ ৫ টি, হলুদ গুঁড়ো সিকি চা-চামচ, মরিচ গুঁড়ো ১ চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী, চিনি ১ চা-চামচ, নারকেলের দুধ ২ কাপ, জিরা বাটা ১ চা-চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, ধনেগুঁড়ো সিকি চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি কাপ, সয়াবিন তেল ১ কাপ, ৩ ৪ টি এলাচ এবং ২-৩ পিচ দারুচিনি।





প্রণালি:

ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে সামান্য লবণ ও হলুদ মাখিয়ে মাছগুলো ভেজে তেল ছেঁকে উঠিয়ে রাখুন। মাছ ভাজা একই তেলে পেঁয়াজ কুচি বাদামি করে হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, লবণ, জিরা বাটা, আদা বাটা, ধনেগুঁড়ো ও ১ কাপ নারকেলের দুধ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। তারপর মাছ গুলো ডেলে দিয়ে কিছুক্ষণ নারুন এবং বাকি ১ কাপ নারকেলের দুধ দিয়ে দিন। এখন চিনি, এলাচ,দারুচিনি, সবুজ কাঁচা মরিচ দিয়ে চুলার আঁচ সামান্য বাড়িয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে নাড়ুন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে যখন মাছের গায়ে ঝোল মাখা মাখা হবে তখন নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
পটেটো পপকর্ন এর সহজ রেসিপি



উপকরণঃ
আলু সিদ্ধ করে ভর্তা করে নেয়া – ১ কাপ
পেয়াজ কুঁচি – ১/২ কাপ
কাঁচামরিচ + শুকনা মরিচ – ২-৩ টি
ধনিয়াপাতা কুঁচি – ২-৩ টেবিল চামচ
লবন – স্বাদ মতো
সরিষার তেল + সয়াবিন তেল – ১ + ১ চাচামচ ( চাইলে আচারের তেল দিতে পারেন টেস্ট দ্বিগুণ হবে )
স্বাদই ম্যাজিক মশলা – ১ প্যাকেট



কোটিং এর জন্যঃ
ময়দা – ১/২ কাপ
কর্ন ফ্লাওয়ার – ২ টেবিল চামচ
বেকিং সোডা – ১/২ চা চামচ
পেপ্রিকা বা গুঁড়া মরিচ – ১ চাচামচ (আমি দুটোই দিয়েছি )
পাঁচফোড়ন হালকা টেলে গুঁড়া করে নেয়া – ১/২ চা চামচ
টেস্টিং সল্ট – ১/২ চা চামচ
টোস্টের গুড়া – ১/২ কাপ
চিনি গুঁড়া – ১ চা চামচ
চাট মশলা – ১ চাচামচ ( আমি চটপটির মশলা নিয়েছি )
স্বাদই ম্যাজিক মশলা – ১ প্যাকেট
পানি -১ বাটি
লবন – সামান্য

প্রনালিঃ
একটি প্যানে তেল দিয়ে আলু ভর্তা বাদে সব উপকরন হালকা ভেজে নিন ।
আলু ভর্তার সাথে সব উপকরন মিশিয়ে গোল বল তৈরি করে নিন ।
একটি প্যাকেটে পানি বাদে কোটিং এর সব উপকরন ভাল করে ঝাকিয়ে মিক্স করে নিন ।
এবার বল গুলো ময়দার মিশ্রন আস্তে করে ঝাকিয়ে পানিতে ছেড়ে তুলে নিন ।
বেশিক্ষন পানিতে রাখবেন না । তাহলে আলু গলে পানিতে মিশে যাবে ।
একই ভাবে আবার ময়দায় ঝাকিয়ে পানিতে ছেড়ে দিয়ে তুলে আবার ময়দায় গরিয়ে নিন ।
এভাবে তিন বার পানিতে ভিজাবেন তিন বার ময়দায় গড়াবেন । চারবার ও গড়িয়ে নিতে পারেন । তাহলে আরো ক্রিস্পি হবে ।
শেষের বার পানিতে একটু বেশি সময় রাখবেন । পানি থেকে তুলে টোস্টের গুড়ায় গড়িয়ে নিবেন ।
ভাল করে চাপ দিয়ে দিয়ে লাগিয়ে নিবেন । যেন টোস্টের মোটা প্রলেপ পরে ।
সব টোস্টের গুঁড়ায় গড়িয়ে নেয়া হয়ে গেলে চুলায় ডুবো তেলে মাঝারি আচে বাদামি কালার করে ভেজে নিন ।
উপরে সস দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার ক্রিস্পি পটেটো পপকর্ন ।

টিপসঃ
এভাবে কোটিং দিলে অনেক সময় ধরে ক্রিস্পি থাকে । আর বাহিরে অনেক মোটা করে ক্রিস্পি লেয়ার হয় ।
পাঁচফোড়ন গুঁড়া দিলে টেস্টটা পুরাই অন্য রকম হয়ে জায় । তবে এই ফ্লেবার পছন্দ না করলে দেয়ার দরকার নেই ।
বাসাতেই তৈরি করুন রেস্টুরেন্টের স্বাদের চিকেন টিকিয়া

https://www.facebook.com/ronyeesikdar/
উপকরণঃ
চিকন কিমা – ১ কাপ
সিদ্ধ আলু ম্যাশ করা – ১ কাপ
আদা ও রসুন বাটা – হাফ + হাফ চা চামচ করে
পিঁয়াজ কুচি – হাফ কাপ
কাঁচা মরিচ কুচি – পরিমান মত
ধনে পাতা কুচি – ইচছা
লবন – পরিমান মত
শুকনা মরিচ গুড়া – সামান্য
তেল – পরিমান অনুযায়ী


প্রনালিঃ
আলুটা সিদ্ধ করে ম্যাশ করে নিতে হবে ।
চুলায় ফ্রাইপ্যান দিয়ে গরম করে তেল দিতে হবে ।
তেলটা গরম হলে পিঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজতে হবে । একটু লাল হলে চিকেন কিমাটা দিয়ে ভাজতে হবে ।
এবার আদা, রসুন বাটা, লবন, হলুূদ ও শুকনা মরিচ গুড়া দিয়ে ভালোমত কষিয়ে নামিয়ে নিতে হবে ।
অন্য একটা বাটিতে ম্যাশ আলু, রান্না করা চিকেন কিমা, কাঁচা মরিচ কুচি, যদি ইচছা হয় একটু ধনে পাতা কুচি দিয়ে ভালো মত মেখে টিকিয়া শেপে বানিয়ে নিতে হবে ।
টিকিয়া গুলো সেট হওয়ার জন্য ৫/ ১০ মিনিট নরমাল ফ্রিজে রেখে দিতে হবে । এতে বাইন্ডিংটা ভালো হবে ।
এবার অন্য একটা ফ্রাইপ্যানে টিকিয়া গুলো স্যালো ফ্রাই মানে এপিঠ ওপিঠ লাল করে ভেজে তুলো নিন ।
পরিবেশনঃ
পোলাও,পরোটার অথবা সালাদের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন দারুন মজাদার এই টিকিয়া ।